সোমবার, ১৪ Jul ২০২৫, ০৬:৩০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ট্রান্সফরমার নষ্ট হওয়ার ঘটনায় বিতর্কিত ক্ষতিপূরণ বিল: নীলফামারীতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখে জোরপূর্বক আদায়ের অভিযোগ নেত্রকোনায় স্ত্রীকে হত্যার পর রশিতে ঝুলে স্বামীর আত্মহত্যা কুমিল্লা ইপিজেড মেডিকেল সেন্টারে চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিয়ে চলছে অফিসের কার্যক্রম আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা: ৯ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অন্ধকারে” ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা: ডিএমপি মির্জাপুরে ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নিজ বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী আটক কেরানীগঞ্জে রাজাবাড়ী এলাকার প্রধান সড়কে ময়লার স্তূপ, চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী শেরপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে একজনকে ১০ দিনের কারাদণ্ড বিয়ের ৩০ বছর পর একসঙ্গে দাখিল পাস করলেন স্বামী-স্ত্রী পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজার কাছে একাধিক গাড়ির ভয়াবহ সংঘর্ষ
কৃষি জমির মাটি বিক্রি নিষিদ্ধ করে সংসদে বিল পাস

কৃষি জমির মাটি বিক্রি নিষিদ্ধ করে সংসদে বিল পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমি থেকে বালু বা মাটি তোলা যাবে না। তবে ব্যক্তির নিজের প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সীমিত পরিসরে বালু বা মাটি তুলতে পারবেন এ বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) বিল–২০২৩’ পাস করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি পাসের জন্য সংসদে প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে তা পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।

বিলে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে বালু বা মাটি তোলা যাবে না, যদি তা উর্বর কৃষি জমি হয় বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, কৃষি জমির উর্বর উপরিভাগের মাটি হলে যদি পরিবেশ-প্রতিবেশ বা জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি সাধিত হয়, ড্রেজারের মাধ্যমে বা যদি অন্য কোনো কৌশলী প্রক্রিয়ায় বালু বা মাটি উত্তোলন করা হয়, যাতে এই জমিসহ পার্শ্ববর্তী অন্য জমির ক্ষতি, চ্যুতি বা ধসের উদ্ভব হয়।

তবে কোনো ব্যক্তি বসতবাড়ি নির্মাণ বা নিজের প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে নিজের মালিকানাধীন জমি থেকে সীমিত পরিসরে বালু বা মাটি তুলতে পারবেন। বিলটিতে বলা হয়েছে, বালু ইজারার মেয়াদ সর্বোচ্চ এক বছর।

বিলের আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, চাঁদপুরের হাইমচরের সেলিম চেয়ারম্যান বালু তোলা নিয়ে ২০১৫ সালে একটি মামলা করেন। ২০১৮ সালে এর রায় হয়। তিনি বালু তোলার অনুমতি পান। গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন। এই যদি হয় বালু ব্যবস্থাপনার অবস্থা! সেলিম চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে কত বালু তুলেছেন, মন্ত্রী তা জানেন কি না, জানাবেন।

গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, তড়িঘড়ি করে সংসদে ভূমির তিনটি বিল আনা হয়েছে। এই বিলগুলো নিয়ে সংসদ সদস্যরা পর্যালোচনারও সুযোগ পাননি। সরকার ইচ্ছা করে জনগণ থকে আড়াল করে আইন করছে। বিভিন্ন পত্রিকার খবর তুলে ধরে তিনি বলেন, অনেক জায়গায় অবৈধ বালু উত্তোলনে ব্যবস্থা না নিয়ে প্রশাসন মাসোহারা নিচ্ছে। এক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদেরও দায়-দায়িত্ব আছে।

বিরোধী দলের সদস্যদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, জনস্বার্থে কাজ করছি। এই আইন কঠোরহস্তে প্রয়োগ করাই উদ্দেশ্য। বালু নিয়ে অনেক সমস্যা। সে কারণে এই আইনে ফাঁক-ফোকর ছিল। প্রশাসন চাইলেও অনেক সময় ব্যবস্থা নিতে পারত না। এই ফাঁক-ফোকর বন্ধ করা হয়েছে। মাঠ প্রশাসন কঠোর হাতে মাটি-বালু উত্তোলনের বিষয়ে কাজ করতে পারবে। এর উদ্দেশ্য কৃষি জমির সুরক্ষা। ইট ভাটা টপ সয়েল নষ্ট করে দিচ্ছে। এই আইন হলে মহৎ উদ্দেশ্য সফল হবে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com